মুঠোফোনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের এই পদ্ধতিটি অনেকের কাছেই অজানা। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ সোজা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের শীর্ষ দুটি মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক এই সেবা দিচ্ছে। সেবা পাওয়ার জন্য এই দুটি প্রতিষ্ঠানের যেকোনোটির একটি নম্বর থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ইংরেজি বর্ণে ‘TKET’ লিখে ‘1200’ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষ হলে গ্রাহক চার সংখ্যার একটি পিন নম্বর পাবে। পরে যেকোনো সময় টিকিট কিনতে ওই পিন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
রেলওয়ের ওয়েবসাইটে মুঠোফোনে টিকিট কেনার পুরো প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, টিকিট কেনার আগে গ্রাহককে তাঁর মুঠোফোনে প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করে নিতে হবে। অর্থাৎ, টিকিট কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা মুঠোফোনে থাকতে হবে। এরপর ১২টি সহজ ধাপে টিকিট কেনার প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়।
প্রথমে ‘*131#’ লিখে ডায়াল করতে হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে অপশনগুলো আসবে। সেগুলো একটার পর একটা বেছে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে অপশনে ‘বুক ট্রেন টিকিট’, ‘পারচেজ ট্রেন টিকিট আফটার বুকিং’ ও ‘পারচেজ ট্রেন টিকিট’–এর যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপে গ্রাহকের পিন নম্বর লিখতে হবে।
পরের ধাপগুলোতে যথাক্রমে যাত্রার তারিখ, যাত্রা শুরুর নির্ধারিত স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, ট্রেনের নাম, টিকিটের আসনের শ্রেণি, যাত্রীসংখ্যা ও তাঁদের বয়স বেছে নিতে হবে।
সবশেষে আসবে নির্ধারিত টিকিটের দাম। সেটি বেছে নেওয়ার পর মুঠোফোন থেকে সমপরিমাণ টাকা কেটে নেবে অপারেটর। এরপর একটি এসএমএস আসবে, যাতে থাকবে একটি কোড নম্বর। এসএমএসসহ ওই কোড নম্বরটি রেলস্টেশনের নির্ধারিত কাউন্টারে অথবা সংশ্লিষ্ট মুঠোফোন অপারেটরের নির্ধারিত কাউন্টারে দেখিয়ে টিকিট সংগ্রহ করা যায়।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, রেলের মোট টিকিটের ২৫ ভাগ অনলাইন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। ঈদের সময়ও এভাবে টিকিট বিক্রি হয়। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারেন।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.