1. কিভাবে
জাতীয় পরিচয়পত্র/
ভোটার আইডি
কার্ড অনলাইনে
হালনাগাদ করার
জন্য আবেদন
করবেন:
কেবল
নাগরিক পরিচয়
নয়, ব্যাংকে
হিসাব খোলা
থেকে শুরু
করে নাগরিক
নানা সেবা
পেতে হলেও
জাতীয় পরিচয়
পত্র/ভোটার
আইডি এখন
অত্যাবশ্যকীয় একটি স্বারক। সঙ্গত
কারণেই এই
কার্ডটিতে ভুল থাকার কোনো অবকাশ
নেই।
নাম, ঠিকানা
ইত্যাদি সবই
থাকা চাই
নির্ভুল।
কিন্তু ইতিমধ্যেই
যাদের আইডিতে
ভুল রয়েছে
তারা কি
করবেন? আশার
কথা হচ্ছে
সরকার ইতিমধ্যেই
ভুল সংশোধনের
এই সুযোগ
করে দিয়েছেন। কোথা
থেকে, কি
ভাবে এটা
সংশোধন করা
যায় তা
নিয়ে আমাদের
অনেকেরই পরিস্কার
ধারণা নাও
থাকতে পারে। প্রশ্নোত্তর
আকারে এবার
সেসব কথাই
জেনি নিন।
Video Tutorial 1:
Video Tutorial 1:
How to edit national id card (জাতীয় পরিচয় পত্র- ভোটার আইডি কার্ড)
** Please Click এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি নতুন ভোটার হিসাবে নিবন্ধন
** Please Click National ID Correction
** Please Click National ID Lost
** Please Click National ID Registration FAQ
** Please Click কারা অনলাইন সেবার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন !!
** Please Click NID Registration From
** Please Click ভোটারের তথ্য
** Please Click নতুন নিবন্ধন
** Please Click লগইন (Log In)
** Please Click Form Download
** Please Click for Contact
তবে
শুধুমাত্র আপনি ভোটার হয়ে থাকলে
রেজিষ্ট্রেশন করে এই ওয়েবসাইটের সুবিধা
নিতে পারবেন
রেজিষ্ট্রেশন
করে আপনি
নিম্নলিখিত সুবিধাসমূহ পেতে পারেন
· নিজস্ব প্রোফাইল তথ্য
·
নির্বাচনকালীন
ভোটকেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য· নিজস্ব প্রোফাইল তথ্য
· কার্ডের তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের জন্য আবেদন।
· ঠিকানা অথবা ভোটার এলাকা পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের আবেদন
· হারানো/নষ্ট কার্ড পুনর্মূদ্রনের আবেদন ।
· ছবি,স্বাক্ষর ইত্যাদি পরিবর্তনের এপয়েন্টমেন্ট করা
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদের জন্য
কি কি
দলিলাদি প্রয়োজন?
১) জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর
নাম (বাংলা/ইংরেজি) এবং
জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্ত সংশোধনের
স্বপক্ষে, ক্ষেত্রমত, নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র/তথ্যাদি
জমা দিতে
হইবে, যথা:-
(ক) শিক্ষাগত
যোগ্যতা ন্যূনতম
এসএসসি/সমমান
হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র;
(খ) শিক্ষাগত
যোগ্যতা ন্যূনতম
এসএসসি/সমমান
না হইলে
এবং তিনি
সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত,
আধা-স্বায়ত্বশাসিত
কিংবা সংবিধিবদ্ধ
কোনো সংস্থায়
চাকুরীরত হইলে,
চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট
অর্ডার (এমপিও);
(গ) অন্যান্য
ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম
নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/ট্রেড লাইসেনস/কাবিননামার সত্যায়িত
অনুলিপি; (ঘ) নামের আমূল পরিবর্তনের
ক্ষেত্রে, প্রার্থিত পরিবর্তনের যথার্থতা সম্পর্কে
গ্রহণযোগ্য দলিলাদি [এসএসসি সনদ/পাসপোর্ট/চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট
অর্ডার (এমপিও)/ড্রার্ইভিং লাইসেনস,
যাহার ক্ষেত্রে
যেটি প্রযোজ্য]
ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে সম্পাদিত
হলফনামা ও
জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত
বিজ্ঞপ্তির কপি; (ঙ) ধর্ম পরিবর্তনের
কারণে নাম
পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত
হলফনামা ও
জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত
বিজ্ঞপ্তির কপি এবং আবেদনের যথার্থতা
সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য
দলিলাদি (শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদপত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং
লাইসেনস/জন্ম
নিবন্ধন সনদ,
ইত্যাদি যাহার
ক্ষেত্রে যেটি
প্রযোজ্য)।
(২) বিবাহ
বা বিবাহ
বিচ্ছেদ বা
অন্য কোন
কারণে কোনো
মহিলা তাহার
নামের সহিত
স্বামীর নামের
অংশ (টাইটেল)
সংযোজন বা
বিয়োজন বা
সংশোধন করিতে
চাহিলে, তাহাকে
কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে সম্পাদিত
হলফনামা/বিবাহ
বিচ্ছেদ ডিক্রির
সত্যায়িত অনুলিপি
জমা দিতে
হইবে।
এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,
প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৩) পিতা/মাতার নাম সংশোধনের
ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর এসএসসি, এইচএসসি
বা সমমান
সনদপত্র (যদি
উহাতে পিতা/মাতার নাম
উল্লিখিত থাকে)
এবং জাতীয়
পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও
বোনের জাতীয়
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে
হইবে।
এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,
প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৪) পিতা/মাতার নামের পূর্বে
“মৃত” অভিব্যক্তিটি
সংযোজন বা
বিয়োজন করিতে
চাহিলে, প্রযোজ্য
ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের
সত্যায়িত অনুলিপি
বা তাহাদের
জাতীয় পরিচয়পত্রের
সত্যায়িত অনুলিপি
ও জীবিত
থাকিবার সমর্থনে
সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর
মেয়র/কাউনিসলরের
প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হইবে।
(৫) ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর)
সংশোধনের ক্ষেত্রে,
সঠিক ঠিকানার
স্বপক্ষে বাড়ির
দলিল/টেলিফোন,
গ্যাস বা
পানির বিল/বাড়ি ভাড়ার
চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি
জমা দিতে
হইবে।
(৬) রক্তের গ্রুপ
সংযোজন বা
সংশোধনের ক্ষেত্রে,
উহার স্বপক্ষে
ডাক্তারী সনদপত্র
জমা দিতে
হইবে।
(৭) শিক্ষাগত যোগ্যতা
সংশোধনের জন্য
জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদপত্রের
সত্যায়িত অনুলিপি
জমা দিতে
হইবে।
(৮) টিআইএন/ড্রাইভিং
লাইসেনস নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর
সংশোধনের ক্ষেত্রে,
প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/পাসপোর্টের সত্যায়িত
অনুলিপি জমা
দিতে হইবে।
(৯) অন্যবিধ যে কোনো সংশোধনের
ক্ষেত্রে, উক্তরূপ সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত
সনদ, দলিল
ইত্যাদির সত্যায়িত
অনুলিপি জমা
দিতে হইবে।
(১০) আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত অনুলিপিসমূহ
নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সত্যায়ন করিতে পারিবেন:
(ক) সংসদ
সদস্য, (খ)
স্থানীয় সরকারের
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, (গ) গেজেটেড সরকারি
কর্মকর্তা, এবং (ঘ) মাধ্যমিক ও
উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
প্রধান।
(১১)
অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল
বলিয়া গণ্য
হইবে।
Video Tutorial 2:
Video Tutorial 2:
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনে আপনার করণীয় কি?
প্রশ্নত্তোরঃ
১.
এনআইডি কার্ডের
তথ্যগত ভুল
কিভাবে সংশোধন
করবেন?
২.
এনআইডি কার্ডের
সংশোধিত তথ্য
কোথায় সংরক্ষিত
হবে?
৩.
ভুলক্রমে এনআইডতে
আপনার বাবা/মা/স্বামী/স্ত্রী যদি
মৃত হিসেবে
উল্লেখ করা
হয় তাহলে
সংশোধনের জন্য
কি কি
ডকুমেন্ট জমা
দিতে হবে?
৪.
বিবাহিত হওয়ার
পরও স্বামীর
নামের জায়গায়
বাবার নাম
লেখা হয়েছে। এটা
কি ভাবে
সংশোধন করা
যাবে?
৫.
সম্প্রতি আমার
বিয়ে হয়েছে। এখন
জাতীয় পরিচয়
পত্রে আমার
স্বামী/স্ত্রীর
নাম কি
ভাবে অন্তর্ভূক্ত
করবো?
৭.
দ্বিতীয় বিয়ের
ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর নাম
কিভাবে অন্তর্ভূক্ত
করতে হবে?
৮.
পেশা পরিবর্তন
করবো কিভাবে?
৯.
আইডির ছবি
অস্পষ্ট হলে
কি করতে
হবে?
১০.
নিজের/স্বামীর/স্ত্রীর/বাবার/মায়ের নামের
বানান ভুল
হলে কিভাবে
সংশোধন করতে
হবে।
১১.
যদি ডাক
নাম/উপনাম
দেয়া থাকে
তাহলে সংশোধনের
জন্য কোন
প্রমাণ পত্র
দাখিল করতে
হবে?
এসএসসি/সমামানের পরীক্ষার
সনদের সত্যায়িত
কপি, বিবাহিত
হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি
ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষরিত এফিডেফিড, জাতীয় দৈনিকে
ঘোষণা পত্র
এবং নাম
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা/সিটি
করপোরেশন থেকে
সনদ নিয়ে
জমা দিতে
হবে।
১২.
পিতা-পাতার
মৃত্যু বরণ
করলে কিভাবে
জানাবো?
১৩.
ঠিকানা পরিবর্তন
করবো কিভাবে?
আবাসিক
থানা/উপজেলা
নির্বাচন কমিশনে
ফরম ১৩
এর মাধ্যমে
আবেদন করতে
হবে।
যদি বানান
গত সংশোধন
হয় তবে
তা সংশোধনের
প্রচলিত নিয়মেই
ঠিক করা
হবে।
১৪.
আমি বয়স
এবং দারিদ্রের
ভারে ন্যুব্জ। কিন্তু
বয়স্ক ভাতা
পাবার মতো
যথেষ্ট বয়স
হয় নি। এখন
কি আমি
এনআইডিতে সংশোধন
করে বয়স
বাড়িয়ে নিতে
পারবো?
না। প্রামাণ্য
দালিল ছাড়া
বয়স পরিবর্তন
করা যাবে
না।
তাই পরিবর্তনের
আগে তা
সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে যাচাই করে নিতে
হবে।
১৫.
একই পরিবারে
সদস্যদের কোনো
একজনের সঙ্গে
বাবা/মায়ের
নাম অমিল
হলে কি
করণীয়?
জেলা/উপজেলা নির্বাচন
কমিশন অফিসে
সংশোধনের জন্য
প্রত্যেককেই এনআইডি জমা দিতে হবে।
১৬.
এসএসসি পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ না
হলেও যদি
অজ্ঞাতসারে এসএসসি পাশ লিখে ফেলেন
তাহলে কিভাবে
সংশোধন করবেন?
ম্যাজিস্ট্রেটের
মাধ্যমে শিক্ষাগত
যোগ্যতার এফিডেফিড
কপি জমা
দিতে হবে।
১৭.
অন্য কারো
তথ্য যদি
আপনার এনআইডি-তে অন্তর্ভূক্ত
করা হয়
তাহলে কি
করবেন?
প্রয়োজনীয়
কাগজ-পত্রসহ
লিখিত আবেদন
করতে হবে। বায়োমেট্রিক
ভেরিফিকেশন শেষে সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু
হবে।
১৮.
রক্তের গ্রুপ
সংশোধন/অন্তর্ভূক্ত
করবো কিভাবে?
গ্রুপ
উলেখ পূর্বক
ডায়াগনস্টিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
১৯.
বয়স/জন্ম
তারিখ পরিবর্তন
করবো কিভাবে?
এ
জন্য এসএসসি/সমমানের সনদের
সত্যায়িত কপি
জমা দিতে
হবে।
আর যদি
তা না
থাকে তবে
জন্ম নিবন্ধন
বা একজন
চিকিৎসক কর্তৃক
সত্যায়িত বার্থ
ডকুমেন্ট জমা
দিতে হবে।
২০.
ভোটার আইডিতে
কিভাবে আমি
আমার স্বাক্ষর
পরিবর্তন করতে
পারবো।
নতুন
স্বাক্ষরের নমুনা সহ প্রয়োজনিয় কাগজপত্র
জমা দিতে
হবে।
২১.
আমার জন্ম
তারিখ সঠিক
ভাবে ছাপা
হয়নি।
যাচাইয়ের জন্য
প্রমাণ পত্রও
হাতে নেই। কি
করতে পারি?
এ
জন্য উজেলা/জেলা নির্বাচন
অফিসে আবেদন
করতে হবে।
যদি জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে যায়
সেক্ষেত্ত্রে নিকটতম থানায় জিডি করে
জিডির মূল
কপিসহ সংশ্লিষ্ট
উপজেলা /থানা
নির্বাচন অফিসারের
কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয়
নিবন্ধন অনুবিভাগে
আবেদন করতে
হবে।
আবেদনপত্ত্র জমা ও পরিচয়পত্র উত্তোলনের
সময় প্রার্থীকে
সশরীরে উপস্থিত
হতে হবে।
Video Tutorial 3:
Video Tutorial 3:
How to edit National id card in Bangladesh
সংগ্রহে রাখুন
তথ্যগুলোঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে, ভুল থাকলে অথবা নতুন করতে গেলে কি করবেন?
জাতীয়
পরিচয় পত্র
হারিয়ে গেলে,
ভুল থাকলে
অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?
এছাড়াও অনেককেই
জাতীয় পরিচয়পত্রের
বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি
নিয়ে ভোগান্তি
পোহাতে হয়। আবার
যারা নতুন
পরিচয়পত্র করতে চান তারাও এ
বিষয়ে অনেকে
অজ্ঞ।
কিভাবে করব,
কোথায় করব,
কি কি
লাগবে ইত্যাদি
বিষয় জানেন
না।
আর এ
সমস্যা সমাধানের
জন্য কিছু
পদ্ধতি অনুসরণ
করলে আশা
করি সবাই
উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে
নিজের নাম,
পিতা, মাতা,
স্বামী, স্ত্রী
ও অভিভাবকের
নাম, জন্মতারিখ,
রক্তের গ্রুপ
এবং ঠিকানা
সংশোধন কিংবা
বদল করতে
হতে পারে। এ
জন্য প্রার্থীকে
সাদা কাগজে
‘ছবিসহ ভোটার
তালিকা প্রণয়ন
এবং জাতীয়
পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’-
এর পরিচালকেরকাছে
আবেদন করতে
হবে।
এই আবেদন
আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম
তলায় প্রকল্প
কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও
করা যায়।
ফরম
পূরণ করে
প্রকল্প কার্যালয়ের
নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর
সেখান থেকে
প্রাপ্তি স্বীকারপত্র
(প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়।
এতে সংশোধিত
জাতীয় পরিচয়পত্র
দেওয়ার তারিখ
উল্লেখ থাকবে। এই
তারিখের সাত
দিনের মধ্যে
কাউন্টার থেকে
সংশোধিত পরিচয়পত্র
নিতে হবে।
নাম
সংশোধনঃ কেউ
পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা,
স্বামী কিংবা
মাতার নাম
সংশোধন করতে
চাইলে তাকে
আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে-
১। এসএসসি
বা সমমান
সনদ
২। নাগরিকত্ব
সনদ
৩। জন্মনিবন্ধন
সনদ
৪। চাকরির
প্রমাণপত্র
৫। পাসপোর্ট
৬। নিকাহনামা
৭। পিতা,
স্বামী কিংবা
মাতার জাতীয়
পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
আবেদনপত্রের
সঙ্গে সংযুক্ত
এসব নথি
অবশ্যই সত্যায়িত
হতে হবে। এ
ক্ষেত্রে উল্লেখ
করা নথির
যার যেটি
আছে, শুধু
সেটি দিলেই
চলবে।
যেমন, যার
শিক্ষাগত যোগ্যতা
এসএসসির কম,
তাকে এসএসসি
বা সমমানের
সনদের ফটোকপি
জমা দিতে
হবে না। আবার
কেউ যদি
চাকরি না
করেন, তাকে
চাকরির প্রমাণপত্র
দিতে হবে
না।
আবার পাসপোর্ট
না থাকলে
তা দেয়ার
দরকার নেই।
নাম
পরিবর্তনঃ
জাতীয়
পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে
হলে আবেদনপত্রের
সঙ্গে জমা
দিতে হবে
এসএসসি বা
সমমানের সনদের
সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর
নিচে হলে
দেয়ার দরকার
নেই), বিবাহিত
ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর
জাতীয় পরিচয়পত্রের
সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত
এফিডেভিট এবং
জাতীয় পত্রিকায়
প্রকাশিত নাম
পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম
পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন
প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ
হাজির হতে
হবে।
স্বামীর
নাম সংযোজন
বা বাদ
দেওয়াঃ
বিয়ের
পর কেউ
জাতীয় পরিচয়পত্রে
স্বামীর নাম
যুক্ত করতে
চাইলে তাকে
কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র
আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর
বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ
দিতে চাইলে
আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা
দিতে হবে।
পিতা
বা মাতার
নাম পরিবর্তনঃ
পিতা
বা মাতার
নাম পরিবর্তন
করতে হলে
আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে
এসএসসি বা
এইচএসসি বা
সমমান পরীক্ষার
সনদ অথবা
রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা
মাতার পরিচয়পত্রের
সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা
মাতা বা
উভয়ে মৃত
হলে দিতে
হবে ভাই
বা বোনের
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম
পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর
সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ
সংশোধনঃ
যাদের
শিক্ষাগত যোগ্যতা
এসএসসি বা
সমমানের, তাদের
আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের
সনদের সত্যায়িত
ফটোকপি জমা
দিতে হবে। বয়সের
পার্থক্য অস্বাভাবিক
না হলে
প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে
উল্লেখ করা
তারিখে সংশোধিত
পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল
কপি প্রদর্শন
কিংবা ব্যক্তিগত
শুনানিতে অংশ
নিতে হতে
পারে।
যাদের শিক্ষাগত
যোগ্যতা এসএসসি
বা সমমানের
কম, তাদের
জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে
জমা দিতে
হবে জাতীয়
পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া
সার্ভিস বুক
বা এমপিওর
কপি, ড্রাইভিং
লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের
কপি প্রভৃতি। এ
ক্ষেত্রে প্রকল্প
কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প
পরিচালক আবেদনকারীর
সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ
ছাড়া দরকার
হলে সংশ্লিষ্ট
নির্বাচন কর্মকর্তার
মাধ্যমে সরেজমিনে
তদন্ত করা
হয়।
ঠিকানা
সংশোধনঃ
জাতীয়
পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও
ভোটার এলাকা
বদল করার
সুযোগ আছে। তবে
সারা বছর
সেই সুযোগ
মেলে না। এটা
শুধু ভোটার
তালিকা হালনাগাদ
করার সময়
করা যাবে। বর্তমানে
হালনাগাদ করার
কাজটি করা
হয় শুধু
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে।
সারা বছর
ভোটার এলাকা
বদলের সুযোগ
থাকে না
কেন, জানতে
চাইলে প্রকল্পের
কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন,
‘আমাদের দেশে
ইউনিয়ন পরিষদ,
পৌরসভা, উপজেলা,
সিটি করপোরেশন
ও জাতীয়
সংসদ নির্বাচন
ভিন্ন ভিন্ন
সময়ে হয়। দেখা
যায়, একই
বছর একাধিক
নির্বাচন হয়। একই
বছরে কেউ
যাতে ইউনিয়ন
পরিষদ, পৌরসভা
ও সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে
ভোট দিতে
না পারেন,
তাই সারা
বছর ভোটার
এলাকা বদলের
সুযোগ দেওয়া
হয় না।’ হালনাগাদ
করার সময়
ভোটার এলাকা
বদল করতে
হলে নতুন
ঠিকানার উপজেলা
বা থানা
নির্বাচন অফিস
থেকে দেওয়া
ফরম-১৩
অথবা ফরম-১৪ পূরণ
করে উপজেলা
বা থানা
নির্বাচন অফিসে
আবেদন করতে
হবে।
তবে ঠিকানা
পরিবর্তন না
করে সংশোধন
(বানান, বাড়ির
নম্বর, সড়ক
নম্বর ভুল
থাকলে) করার
সুযোগ ঢাকার
প্রকল্প কার্যালয়ে
রয়েছে।এ ছাড়া
স্থায়ী ঠিকানা
পরিবর্তন বা
এর কোনো
তথ্য সংশোধনেরও
সুযোগ আছে। ঠিকানার
ছোটখাটো ভুল
সংশোধন বা
স্থায়ী ঠিকানা
পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ
জন্য আবেদনপত্রের
সঙ্গে প্রকল্প
কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে
হবে পরিবারের
কোনো সদস্যের
পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন
বিলের যেকোনো
একটির কপি
বা কর
দেওয়ার কপি। আরও
জমা দিতে
হবে চেয়ারম্যান
বা ওয়ার্ড
কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র।
স্থায়ী ঠিকানা
পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের
নামে বা
পিতা বা
মাতার নামে
থাকা জমি
বা ফ্ল্যাটের
দলিলের সত্যায়িত
ফটোকপিও জমা
দিতে হবে।
রক্তের
গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের
গ্রুপ সংশোধন
করতে হলে
মেডিকেল প্রতিবেদন
দাখিল করতে
হবে।
বিবিধ
সংশোধনঃ
জাতীয়
পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি,
উপাধি, খেতাব
ইত্যাদি সংযুক্ত
করা যাবে
না।
পিতা বা
স্বামী বা
মাতাকে মৃত
উল্লেখ করতে
চাইলে মৃত্যুর
সনদ দাখিল
করতে হবে। জীবিত
পিতা বা
স্বামী বা
মাতাকে ভুলক্রমে
মৃত হিসেবে
উল্লেখ করার
কারণে পরিচয়পত্র
সংশোধন করতে
হলে সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তির পরিচয়পত্রের
কপি দাখিল
করতে হবে।
হালনাগাদ
কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯
সালে হালনাগাদ
কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার
তালিকায় যুক্ত
হয়েছে, তাদের
জাতীয় পরিচয়পত্রে
কোনো ভুল
থাকলে বা
হারিয়ে গেলে
তাদের ২০১০
সালের ডিসেম্বরের
পর প্রকল্প
কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র
হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র
হারিয়ে গেলে
সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা
আইডি নম্বর
উল্লেখ করে
সাধারণ ডায়েরি
(জিডি) করতে
হবে।
এরপর জিডির
মূল কপিসহ
প্রকল্প কার্যালয়
থেকে নেওয়া
ছকের আবেদনপত্র
নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি
স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি
স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট
পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
যারা
এখনো পরিচয়পত্র
ওঠাননিঃ
ঢাকা
সিটি করপোরেশনের
যেসব বাসিন্দা
(ডেমরা, যাত্রাবাড়ী,
কদমতলী, শ্যামপুর
থানা ছাড়া)
২০০৭-০৮
সালে পরিচয়পত্রের
জন্য সব
আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি
সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি,
তারা প্রকল্প
কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ
জমা দিয়ে
সেই পরিচয়পত্র
সংগ্রহ করতে
পারবেন।
ডিসিসির বাইরে
ঢাকা জেলার
অন্যান্য উপজেলা
বা থানার
বাসিন্দা কিংবা
দেশের অন্য
কোনো জেলার
বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না
উঠিয়ে থাকলে,
তাঁদের প্রাপ্তি
রসিদ সংশ্লিষ্ট
উপজেলা, থানা
বা জেলা
নির্বাচন কর্মকর্তার
মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে
পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
তাঁদের মূল
প্রাপ্তি রসিদ
প্রকল্প কার্যালয়ের
নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি
স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে।
প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে
উল্লেখ করা
তারিখে তাঁদের
পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
অভিবাসীরা
যেভাবে জাতীয়
পরিচয়পত্র পাবেনঃ
অভিবাসী
বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ
আছে।
এ জন্য
তাঁদের অবশ্যই
দেশে আসতে
হবে।
তাঁদের থাকতে
হবে পাসপোর্ট। আর
তাতে বাংলাদেশে
আসার সিল
(অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে।
কারও যদি
পাসপোর্ট না
থাকে, তবে
তাঁকে এমন
কোনো কাগজ
দেখাতে হবে,
যেটা প্রমাণ
করে যে
তিনি বিদেশে
ছিলেন।
পাসপোর্ট বা
সেই প্রমাণপত্র
নিয়ে তাঁকে
যেতে হবে
তাঁর থানা
বা উপজেলা
নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে
জাতীয় পরিচয়পত্র
পাওয়া এবং
ভোটার হওয়ার
আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
সেখানে নিয়মতান্ত্রিক
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম
ও আনুষঙ্গিক
কাগজপত্র নিয়ে
আসতে হবে
জেলা নির্বাচন
কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে
সব কাগজপত্র
ডাকযোগে পাঠিয়ে
দেওয়া হবে
নির্বাচন কমিশন
সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার
তালিকা প্রণয়ন
এবং জাতীয়
পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের
দপ্তরে।
তবে জেলা
নির্বাচন কার্যালয়ে
কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে
আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে
আসতে পারেন
প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর
ছবি তোলা
হবে, নেওয়া
হবে হাতের
ছাপ ও
চোখের (আইরিশ)
স্ক্যান।
এসব কাজ
সম্পন্ন হওয়ার
পর আবেদনকারীকে
প্রাপ্তি রসিদ
দেওয়া হবে। তাতে
আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ভবনের সপ্তম
তলায় প্রকল্পের
দপ্তর থেকে
জাতীয় পরিচয়পত্র
নিয়ে যাওয়ার
জন্য বলা
হবে।
তখন অবশ্যই
প্রাপ্তি রসিদ
আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।
নতুন
জাতীয় পরিচয়পত্র
পেতে হলেঃ
বাংলাদেশে
কারও বয়স
১৮ বছর
হলেই কেবল
তিনি ভোটার
তালিকায় নাম
ওঠাতে পারবেন। দেশের
প্রতিটি উপজেলায়
সার্ভার স্টেশন
তৈরির প্রক্রিয়া
চলছে।
এসব স্টেশনে
ভোটার তালিকা
তৈরি ও
বিতরণের কাজ
করা হবে। এগুলোয়
কার্যক্রম শুরু হলে যখন যার
বয়স ১৮
বছর হবে,
তখন তিনি
ভোটার তালিকায়
নাম ওঠাতে
পারবেন।
এখন ১৮
বছর পূর্ণ
হওয়া মাত্রই
জাতীয় পরিচয়পত্র
তৈরির সুযোগ
থাকছে তাদেরই,
যাদের চিকিৎসা,
পড়াশোনা বা
কাজের জন্য
বিদেশে যেতে
হবে।
এ জাতীয়
কোনো প্রয়োজনীয়তার
প্রমাণ দেখাতে
হবে।
যোগাযোগঃ
ভোটার
তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে
যোগাযোগ করতে
হবে ছবিসহ
ভোটার তালিকা
প্রণয়ন এবং
জাতীয় পরিচয়পত্র
প্রদানে সহায়তা
প্রদান প্রকল্পের
আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম
তলার কার্যালয়ে।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.