Tuesday, March 24, 2015

কনস্টিপেশন (কোষ্ঠ কাঠিন্য) হলে কি করবেন? কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী যে ৬ টি খাবার

কোষ্ঠ কাঠিন্য

অধ্যাপক নইম কাদের

কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে অনিয়মিত ও কষ্টকর মলত্যাগ। মল শক্ত হওয়া, পরিষ্কারভাবে মলত্যাগ না হওয়া। কোষ্ঠকাঠিন্য একটি জটিল সমস্যা। পরিপাক ও যকৃতসংক্রান্ত বহু রোগের কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য। একজন সুস্ত মানুষ খাদ্য হিসেবে যা গ্রহণ করে তিন ঘন্টার মধ্যে তা হজম হয়ে যায় এবং ৬ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর অভুক্ত অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। এটাই নিয়ম। শরীর থেকে বের হয়ে আসা এই অভুক্ত অংশ হল মল বা পায়খানা। একজন সুস্ত মানুষের স্বাভাবিক নিয়মে ২৪ঘন্টার মধ্যে ১/২বার পায়খানা হয়। অধিকাংশ মানুষ দিনে একবার মলত্যাগ করে। মলত্যাগ দিনের যে কোন সময় হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাস, রাত্রে বিশ্রাম ও ঘুম ইত্যাদি কারণে সকালে ঘুম ভাংগার পর মল ত্যাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক নিয়ম। অভ্যাসবশত বা পেশাজনিত কারণে মলত্যাগের সময়ে ভিন্নতা ঘটতে পারে। যেমন কারো সকালে ঘুম ভাংগার সাথে সাথে পায়খানার বেগ হয়, আবার কারো কারো সকালে কিছু খাওয়ার পরপরই পায়খানার বেগ আসে। এমন অনেকই আছে যাদের স্বাভাবিক নিয়মে পায়খানা হয় না। পায়খান ২/১দিন পরপর হয়, অনেকের ৩/৪দিন পর এমনকি ১সপ্তাহ পরও হয়। মল শক্ত হওয়ায় মলত্যাগে খুব কষ্ট হয়। এমনকি মলদ্বার ছিঁড়ে যায়, মলদ্বার দিয়ে রক্ত ঝরে।


কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ : 

এর নানাবিধ কারণ আছে, একদিনে বা হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। এর মূল কারণ জীবন যাপন ও খাদ্যাভ্যাস।
খাদ্যাভ্যাস যেমন- স্বাভাবিক ও ন্যাচারাল খাদ্য কম খাওয়া, উত্তেজক খাদ্য গ্রহণ করা, শাকসব্জি কম খাওয়া, পানি কম পান করা, যাদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তারা প্রচুর পরিমাণ পানি পান না করা, সময়মত খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ না করা, ক্ষুধা লাগার পরও খাদ্য গ্রহণে বিলম্ব করা, মাদকদ্রব্য সেবন করা, ধূমপান করা ইত্যাদি।

জীবন যাপন অভ্যাস যেমন- অলস জীবন যাপন করা, শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম না করা। অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম করা, স্নায়ুবিক উত্তেজনা, দীর্ঘ রাত জাগা, সকালে বিলম্বে বিছানা ত্যাগ করা, দীর্ঘ দিন ধরে পেটের গোলযোগে ভোগা, অপরিমিত ও অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা ইত্যাদি।

দৈহিক কারণ যেমন- ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্রের মাংসপেশী দুর্বল হওয়া, গলব্লাডারের সমস্যার কারণে পিত্ত রস সঠিকভাবে সঠিক পরিমাণে নির্গত না হওয়া, অন্ত্রে প্যাঁচ লাগা বা অন্ত্রের কোথাও টিউমার ইত্যাদি কারণে খাদ্যদ্রব্য নির্গমনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া, যে কোন কারণে মলাশয় সংকুচিত হয়ে পড়া ইত্যাদি। কৃমির কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। মনে রাখতে হবে অর্শ-ভগন্দরের সাথেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্পর্ক আছে।

পায়খানার বেগ আসার সাথে সাথে মল ত্যাগ না করে চেপে রাখা অর্থাৎ সময় মত মল ত্যাগ না করাও কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি কারণ। অনেকের কাছে এ বদ অভ্যাসটি আছে। নারী-পুরুষ উভয়ের মাঝে এ অভ্যসটি লক্ষ করা যায়। মহিলারা লজ্জা ও সংকোচ বশত মল চেপে রাখে আর পুরষগণ কাজের চাপে বা অলসতার কারণে মল চেপে রাখে। স্বাভাবিক নিয়মে মলত্যাগের বেগ আসাটা প্রকৃতির নিয়ম। লজ্জা-সংকোচ বা কাজের চাপের দোহাই দিয়ে তা চেপে রাখা খুবই খারাপ অভ্যাস। যেসব শিশু জন্মের পর মায়ের দুধের পরিবর্তে টিনজাত খাদ্যে বড় হয়েছে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশি। ‘শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই’ কথাটা সবসময় মনে রাখতে হবে।

বহু মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যের এ সমস্যায় ভোগেন। অনেকে লজ্জায় এসব কাউকে বলেন না। এটা ঠিক নয়। সময়মত চিকিৎসা না নিলে পরে আরো জটিল পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য অবশ্যই নিরাময়যোগ্য। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন অভ্যাস স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হোমিওপ্যাথিতে কোষ্ঠকাঠিন্যের স্থায়ী চিকিৎসা আছে। নাক্স ভম, এলিউমিনা, এনাকার্ডিয়াম, হাইড্রেস্টিস, ব্রাইয়োনিয়া, ওপিয়াম, ম্যাগ মিউর, ন্যাট্রাম মিউর, লাইকো, প্লাম্বামসহ আরো অনেক হোমিও মেডিসিন কোষ্ঠকাঠিন্যে প্রয়োগ করা হয়।

মনে রাখতে হবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুব জটিল। প্রথমে রোগলক্ষণ ও ঔষধলক্ষণ মিলাতে হবে, তারপর ঔষধের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষণ ও মাত্রা সঠিক না হলে হোমিওপ্যাথিতে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা হবে না। তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল- অভ্যাস পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এর স্থায়ী আরোগ্য সম্ভব নয়।


মোঃ জাকির হোসেন খান : কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগ জীবনের জন্য একটি অভিশাপ। এই রোগটি আজ কাল কম বেশী সব মানুষকেই ভোগায়। আর সবচেয় বড় কথা কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগ থেকে অনেক রোগের জন্ম নেয়। 

এছাড়া কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগ হতে অনিদ্র, চোখে ব্যাথা, চোখের নিচে কালি পড়া, মাথা ঘোড়ানো, কোমর ব্যাথা, জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা দেখা দেয়। কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগ মানুষকে দুর্বল করে ফেলে। কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগ থেকে বিভিন্ন চর্ম রোগের ও সৃষ্টি হয়। 

যেমন:- ব্রণ, চুলকানী, মুখে ঘা, মেছতা ইত্যাদি। কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগ থেকে অশ্ব বা পাইল রোগ এর ও সৃষ্টি হয়। ক্ষুদা কমে যাওয়া, মুখে দূরগন্ধ, পেটে গ্যাস ইত্যাদি কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগের লক্ষন।

আমি আগেও অনেক বার লিখেছি অনিয়মিত খাবার দাবার ও অনিয়মিত জীবন যাপন থেকেই বিভিন্ন অসুখের সৃষ্টি হয়।

এখন আসা যাক কিভাবে এর প্রতিকার করা যাবে:

আমরা যারা কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগে ভোগছি তারা রাতে শোয়ার সময় ইসুব গুলের ভূসি এবং সকালে যদি মৌসুমী ফল কমলা পাওয়া যায়  তবে ২ টি কমলা খেতে হবে।

ইসুব গুলের ভূসি : ৪ থেকে ৫ ঘন্টা আগে ২-৩ চা চামচ ইসুব গুলের ভূসি ভিজিয়ে রাতে খাবার পর শোয়ার আগে ভালো ভাবে নেড়ে খেয়ে ফেলুন।

কমলা : সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩ টি কমলার রস খাবেন। এর পর ১  ঘন্টা কোন কিছুই খাবেন না।

কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগীরা প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করার অভ্যাস করবেন। তাছাড়া গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, খিচুড়ি, বিরিয়ানী, নারিকেল, ভাজা পোড়া, ফাস্ট ফুড, আইসক্রিম, চকলেট ইত্যাদি খাবার থেকে বিরত থাকুন। কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগীরা নিয়মিত বেশী বেশী সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

রাতে শোয়ার কমপক্ষে ৩ ঘন্টা পূর্বে রাতের খাবার খেতে হবে। তাছাড়া সকাল এবং দুপুরের খাবার পেট খালি রেখে খেতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া খাবার সময় পানি না খাওয়াই ভালো। খাওয়ার আধা ঘন্টা পর পানি পান করুন।

মনে রাখবেন সুস্থ্য দেহ অসংখ্য নিয়ামত। আপনার শরীরটাকে সুস্থ্য রাখার জন্য আপনাকেই চেষ্ঠা করতে হবে। যেহেতু জীবনটা আপনার তাই আপনার শরীরের যত্ন আপনাকেই নিতে হবে। বাবা-মা বেঁচে থাকলে বেশী বেশী তাদের যত্ন নিন। ভালো ভালো কাজ করুন ইনশাআল্লাহ্ আপনি সুস্থ্য হয়ে যাবেন।

কনস্টিপেশন (কোষ্ঠ কাঠিন্য)

কনস্টিপেশন কী? সপ্তাহে তিনবারের চেয়ে কম কঠিন পায়খানা হলে একে বলে কনস্টিপেশন। আরো কিছু অসুবিধা যা কনস্টিপেশন হলে হয়- পায়খানার সময় রোগীকে চেষ্টা করে চাপ প্রয়োগ করতে হয়, রোগীর মনে হয় পায়খানা পুরাপুরি হয় নি, এবং পেটে বা মলদ্বারের আসে পাশে অস্বস্তি লাগে।
কাদের হয়? সাধারণত বয়স্ক মানুষের সমস্যা এটা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬৫ বছর বয়সের উপরে ৩০% মানুষ ল্যাক্সেটিভ (পায়খানা সহজ করার ওষুধ) ব্যবহার করে। কিছু কিছু অবস্থায় যেমন দীর্ঘদিন শয্যাসায়ী বয়স্ক রোগী, মলদ্বার বা অন্ত্রের ক্যান্সার বা আরো কিছু অসুস্থতা যেমন, ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ, ডিমেনশিয়া, স্ট্রোক, হাইপোথাইরয়ডিজম, ডিপ্রেশন, ক্যালসিয়াম আধিক্য, কিছু কিছু ওষুধ যেমন আয়রন, ওপিয়েটস, ক্যালসিয়াম এন্টাগোনিস্ট, এন্টিকোলিনার্জিক ওষুধ, অথবা বেশ কয়েক প্রকারের ওষুধ একসাথে খেতে হয় এমন বয়স্ক রোগীদের কনস্টিপেশন হয়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে খাদ্যে যথেষ্ট পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার না থাকা। গর্ভাবস্থায়ও কনস্টিপেশন দেখা দেয়।



চিকিৎসাঃ

১। সাধারণ চিকিৎসা- বেশীরভাগ রোগীর সাধারণ কনস্টিপেশন হয় যাতে রিএশিউরেন্স এবং কিছু সাধারণ করনীয় বলে দিলে রোগী অনেকাংশে ভাল হয়ে যায়। যেমন:

ক। পরিমিত ব্যায়াম
খ। সঠিক পায়খানার অভ্যাস (টয়লেট ট্রেনিং) [যেমন প্রতিদিন সকালে বা নির্দিষ্ট কোন সময়ে টয়লেটে গিয়ে পায়খানার চেষ্টা করা (পায়খানা হোক বা না হোক)]
গ। অধিক পরিমানে আঁশ যুক্ত খাবার খাওয়া
ঘ। যথেষ্ট পরিমাণ পানি ও পানীয় পান করা
ঙ। দুঃশ্চিন্তা পরিহার করা।

যদি উপরের নিয়ম ব্যার্থ হয় তবে ল্যাক্সেটিভ দেয়া যেতে পারে। তিন ধরণের ল্যাক্সেটিভ সাধারণত দেয়া হয়। খেয়াল করবেন এই ল্যাক্সেটিভ গুলো সাধারণতঃ দীর্ঘমেয়াদী কনস্টিপেশনে দেয়া হয়।

১। বাল্ক ফরমিং ল্যাক্সেটিভ যেমন ক) মিথাইল সেলুলোজ খ) ইসবগুলের ভূষি
২। অসমোটিক ল্যাক্সেটিভ যেমন ক) লাক্টিউলোজ খ) ম্যাগনেসিয়াম সালফেট
৩। স্টিমুলেন্ট ল্যাক্সেটিভ যেমন ক) ডুরালাক্স ১-২ বড়ি রাতে শোয়ার সময় খ) ল্যাক্সেনা ৬০০ মিঃগ্রাম ২-৪ বড়ি রাতে শোয়ার সময়।


স্বল্পস্থায়ী বা একিউট কনস্টিপেশনের চিকিৎসা:

হসপিটাল বা ক্লিনিকে এনেমা দেয়া হয়। অথবা ওষুধও ব্যবহার করা হয়।
তবে বাসায় সাধারণত ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
ক) লিকুইড প্যারাফিন ১০ মিঃলিঃ সকালে একবার এবং রাতে একবার।
খ) ক্যাস্টর অয়েল ১৫ – ৪৫ মিঃলিঃ দিনে একবার।





কোষ্ঠ কাঠিন্য হলে কি করবেন ?

১/ রাতের খাওয়ার পর ইছুপগুলের ভূষি গরম দুধে মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য সেরে যাবে।
২/ প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পর ও রাতেখাওয়ার পর একটি করে কাচা টমেটো বিচি সহ খেলে অনেক পুরানো কোষ্ঠ কাঠিন্য সেরে যায় ।

খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টি গুন। যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য রোধ করে। 



কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী যে ৬ টি খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে সাধারণ দৃষ্টিতে খুব বড় সমস্যা মনে না হলেও এর থেকে কিন্তু মারাত্মক কিছু শারীরিক সমস্যার উৎপত্তি হতে দেখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে এসিডিটি, ক্ষুধা, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, মাথা ব্যথা, বিষণ্নতা, ব্রণ, মুখে আলসারের মতো ছোটোখাটো সমস্যা হতে মারাত্মক পাইলসের সমস্যাও হতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অবহেলা করবেন না একেবারেই। অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা, কায়িক শ্রমের অভাব ইত্যাদির কারণে হজমের সমস্যা এবং তা থেকে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। সুতরাং চলতে হবে বুঝে শুনে এবং সেই সাথে খাবারও খেতে হবে অনেক বুদ্ধি করে। কারণ কিছু খাবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। যদি এই খাবারগুলো প্রায় নিয়মিত খেতে থাকেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে অচিরেই।

১) পাউরুটি
পাউরুটিতে রয়েছে ফ্রুক্টেন যা অনেকটা সময় পেটে থাকে, সহজে হজম হয় না। এতে করে ব্যাকটেরিয়া ফ্রুক্টেনকে ফারমেন্ট করে এবং গ্যাসের সৃষ্টি করে। এই গ্যাসের কারণে হজমে সমস্যা, পেট ব্যথা এবং পেট কামড়ানোর মতো সমস্যা শুরু হয় এবং পাকস্থলীর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

২) চকলেট
চকলেটও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী একটি খাবার। প্রতিদিন একটু চকলেট দেহের জন্য বেশ ভালো এর ফ্লেভানয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে। কিন্তু জার্মানির একটি গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত একটু বেশি পরিমাণে চকলেট খাওয়া হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। এতে করেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়।

৩) কুকিজ
কুকিজ আসলে কার্বোহাইড্রেটের রিফাইন্ড রূপ। যদিও ময়দা বা আটা দিয়ে তৈরি কিন্তু রিফাইন্ডের কারণে এর ফাইবারের পরিমাণ অনেক কম এবং ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এটিও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী একটি খাবার।

৪) কাঁচা কলা
পাকা কলাতে স্যলুবল ফাইবারের মাত্রা অনেক বেশি এবং তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। কিন্তু অপরদিকে কাঁচা কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী একটি খাবার। তবে কাঁচা কলার নিউট্রিশন অনেক বেশি তাই কাঁচা কলা খাওয়া একেবারে বাদ না দিয়ে পরিমিত করুন।

৫) চিপস
চিপস মূলত তৈরি হয় আলু এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কিছু খাবার দিয়ে যাতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক কম এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। আর অতিরিক্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার হজমে সমস্যা করে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

৬) উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
ডিম, দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেসকল খাবারে উচ্চমাত্রার প্রোটিন রয়েছে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বাড়ায়। কারণ প্রোটিন অনেক সময় হজমে সমস্যা করে। তবে দুধ এক্ষেত্রে গরম দুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে বিশেষ সহায়তা করে।

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.



Contact Form

Name

Email *

Message *