হলুদ
খুবই কমন
একটি মসলা
যা আমাদের
বাঙালি পরিবারের
রান্নার ঘরে
সবসময় থাকে। এই
মসলা খাবারে
রং এবং
সাদের পাশাপাশি
এর রয়েছে
নানাবিধ উপকারী
গুণ।
যদি আপনি
ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে
এই মসলা
আপনার জন্য
অত্যাধিক উপকারী। হলুদে
বিদ্যমান শক্তিশালী
এন্টিসেপটিক উপাদান এবং কার্যকরী এন্টিওক্সিডেন্ট
এজেন্ট যা
মানব দেহের
জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ন। এছাড়াও হলুদ ব্লাড
সুগারকে নিয়ন্ত্রনে
আনতেও অসাধারণ
কাজ করে। চলুন
তাহলে দেখি
এই প্রাকৃতিক
উপাদান কিভাবে
ব্লাড সুগার
নিয়ন্ত্রন করে।
কিভাবে কাজ করে?
হলুদে
রয়েছে curcumin যা ইনসুলিন লেভেলকে সহনীয়
পর্যায়ে রাখে
এবং ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রনেও অসাধারণ ঔষধ হিসাবে কাজ
করে।
শক্তিশালী এন্টিওক্সিডেন উপাদান থাকায় হলুদ
দেহের উন্মুক্ত
রেডিক্যাল কে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য
করে। প্রোটিন
গ্লাইকোসাইলেশন এবং লিপিড পেরক্সিডেশন নামক
দুটি প্রধান
প্রক্রিয়া দেখে ঘটার ফলে একজন
ব্যাক্তি ডায়াবেটিসে
ভুগে থাকে। লুজিয়ানা
স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান এর পেডিয়াট্রিক্স ডিপার্টমেন্টের
গবেষণায় দেখা
গেছে যে
হলুদে থাকা
curcumin এই দুই মূল প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ
করতে সাহায্য
করে যার
ফলে দেহের
ব্লাড সুগার
কমিয়ে আনা
সম্ভব হয়।
আপনার খাবারে হলুদ যোগ করার টিপস
পারিবারিক
পদ্ধতিতে সবজি
, তরকারি এবং
ডালে হলুদ
মিশানো ছাড়াও
আপনার খাদ্যে
কিভাবে হলুদ
মিশাবেন দেখে
নিন।
হলদি দুধঃ
আধা
চামচ হলুদ
গুড়া এবং
অল্প পরিমাণ
গোল মরিচ
গুড়া এক
গ্লাস সিদ্ধ
দুধের সাথে
মিশিয়ে নিন। এই
দুধ দিনে
দুবার যেমন
সকালে এবং
সন্ধায় পান
করুন যা
শরীরের জন্য
অগণিত উপকারে
আসে।
হলুদ চাঃ
চার
কাপ সিদ্ধ
পানির সাথে
এক চামচ
হলুদ গুড়া
এবং এক
চিমটি আদা
গুড়া মিশিয়ে
নিন।
অল্প আঁচে
১০ মিনিট
ফুঁটাতে থাকুন,
ভালোভাবে মিশে
গেলে ঠান্ডা
করে পান
করুন।
সুপ অথবা অন্য তরকারিঃ
আপনি
ইচ্ছে করলে
হলুদ এবং
অন্যান্য মসলা
মিশিয়ে সবজি
পানি তে
সিদ্ধ করে
সুপ তৈরি
করে নিন। গরম
থাকতেই এই
সুপ পান
করুন।
তাহলে
বুঝতেই তো
পারছেন হলুদের
অসাধারণ গুণাবলী। আপনি
যদি ব্লাড
সুগার নিয়ে
অতিরিক্ত চিন্তায়
থাকেন তাহলে
এই ঘরোয়া
সমাধানটি প্রয়োগ
করে দেখতে
পারেন।