আশ্চর্য্য হয়ে যাই যখন শুনি মুসলিম ঘরের সন্তান অন্য ধর্মের সংস্কৃতি অনুসরণ করে ! আসলে আমি জানি এগুলা লিখে কোন লাভ নাই । কারণ আমার কথা তারা শুনবে না, যারা পালন করার ঠিক ই করবে ।
তারপরে আমি আমার জায়গা থেকে অবশ্যই এই ঘৃণ্য কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাতেই পারি । এটা আমার অধিকার ।
যার যার ধর্ম সে সে যথা নিয়মে পালন করবে এটাই তো ঠিক আছে । অন্যের ধর্ম আমাকে পালন করতে হবে কেন ?
আজ থেকে ৫/৭ বছর আগেও এমন ঘটনা শুনি নি । মুসলিম ঘরের সন্তান হিন্দুদের 'দোল যাত্রার' হলি খেলে । আর বলে তারা বাঙালি ! আচ্ছা, বাঙালি যে নতুন ধর্ম এটা এখন বুঝলাম । বাঙালি ধর্মে তাহলে আল্লাহর সাথে যারা শির্ককে লিপ্ত হয়, তাদের শির্কি আনন্দেও সামিল হওয়া জায়েজ রয়েছে ।
কই অমুসলিমদের তো দেখি না ! মুসলিমদের সাথে মিশে ঈদে নামায পড়তে যেতে ! কিংবা কোন হিন্দু ভাইকে দেখি না কুরবানীর ঈদে এসে গরু জবাইয়ে সামিল হতে ? তাহলে তখন এই বাঙালি আনা কোথায় যায় ? তখন চেতনা কি তাদের স্বীয় ধর্মীয় অনুভূতির কাছে শেষ হয়ে যায় ?
তাহলে, ও মুসলিম ঘরের সন্তান , আল্লাহ কে এক এবং একক সত্ত্বা বলে মেনে নেওয়া । 'লা ইলাহা ইল্লল্লাহ' উচ্চারণ করে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্নসমার্ণের অঙ্গিকার আজ কোথায় গেল তোমাদের ?
যেখানে, আল্লাহ বলছেন আল্লাহর সাথে শির্ককারী সবচেয়ে জামেল , সেখানে তুমি কি করে শির্ককারী শির্কি উৎসবে সামিল হও মানে ? নিজেকে আবার মুসলিম দাবি কর ! নিজেকে শিক্ষিত দাবি কর ! এরা যারা মুসলিম ঘরের সন্তান হয়ে অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে যায়, তাদের উৎসবে অংশ নেয় তারা কেউ শিক্ষিত নয়, আমি শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের চ্যালেঞ্জদের দিকে ছুড়ে দিলাম ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তি (মুসলমান) যে সম্প্রদায়ের (কাফির-মুশরিকদের) সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়"। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৫১৪, মিশকাত) ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মহান আল্লাহ বলেন, "কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যে দিকে সে ফিরে যায় সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব। আর তা কতই না মন্দ নিবাস"। (সূরা নিসা ৪ : ১১৫)
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মহান আল্লাহ সূরা কাফিরূন এর শেষ আয়াত এর মধ্যে ইরশাদ করেন, “ তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আর আমাদের (মুসলমান) দ্বীন আমাদের জন্য।”
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মহান আল্লাহ কুর'আনে বলেন,‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে’। {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৪৮}
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ؟ قَالَ: «أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ»
‘আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন, ‘তুমি কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করবে; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’। [বুখারী : ৬০০১; মুসলিম : ৮৬]
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সুতরাং , একজন হত্যাকারী সহায়তা যেমন অপরাধ, একজন ধর্ষণকারী উৎসাহিত করা যেমন অপরাধ তেমনি যারা আল্লাহর সাথে শির্ক করে তাদের শির্কি বিশ্বাসে পরিপূর্ণ উৎসব অথবা তাদের দেব-দেবীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সেই উৎসবে সামিল হয়ে তাদেরকে এসব কাজে উৎসাহ দেওয়াও সমান অপরাধ ।
আল্লাহ আমাদের সমাজকে এবং সমাজের মানুষকে এসব জাহেলিয়াত ও পৌত্তলিক সংস্কৃতি থেকে রক্ষা কর, হেদায়াত দান কর, আমিন ।
তারপরে আমি আমার জায়গা থেকে অবশ্যই এই ঘৃণ্য কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাতেই পারি । এটা আমার অধিকার ।
যার যার ধর্ম সে সে যথা নিয়মে পালন করবে এটাই তো ঠিক আছে । অন্যের ধর্ম আমাকে পালন করতে হবে কেন ?
আজ থেকে ৫/৭ বছর আগেও এমন ঘটনা শুনি নি । মুসলিম ঘরের সন্তান হিন্দুদের 'দোল যাত্রার' হলি খেলে । আর বলে তারা বাঙালি ! আচ্ছা, বাঙালি যে নতুন ধর্ম এটা এখন বুঝলাম । বাঙালি ধর্মে তাহলে আল্লাহর সাথে যারা শির্ককে লিপ্ত হয়, তাদের শির্কি আনন্দেও সামিল হওয়া জায়েজ রয়েছে ।
কই অমুসলিমদের তো দেখি না ! মুসলিমদের সাথে মিশে ঈদে নামায পড়তে যেতে ! কিংবা কোন হিন্দু ভাইকে দেখি না কুরবানীর ঈদে এসে গরু জবাইয়ে সামিল হতে ? তাহলে তখন এই বাঙালি আনা কোথায় যায় ? তখন চেতনা কি তাদের স্বীয় ধর্মীয় অনুভূতির কাছে শেষ হয়ে যায় ?
তাহলে, ও মুসলিম ঘরের সন্তান , আল্লাহ কে এক এবং একক সত্ত্বা বলে মেনে নেওয়া । 'লা ইলাহা ইল্লল্লাহ' উচ্চারণ করে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্নসমার্ণের অঙ্গিকার আজ কোথায় গেল তোমাদের ?
যেখানে, আল্লাহ বলছেন আল্লাহর সাথে শির্ককারী সবচেয়ে জামেল , সেখানে তুমি কি করে শির্ককারী শির্কি উৎসবে সামিল হও মানে ? নিজেকে আবার মুসলিম দাবি কর ! নিজেকে শিক্ষিত দাবি কর ! এরা যারা মুসলিম ঘরের সন্তান হয়ে অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে যায়, তাদের উৎসবে অংশ নেয় তারা কেউ শিক্ষিত নয়, আমি শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের চ্যালেঞ্জদের দিকে ছুড়ে দিলাম ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তি (মুসলমান) যে সম্প্রদায়ের (কাফির-মুশরিকদের) সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়"। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৫১৪, মিশকাত) ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মহান আল্লাহ বলেন, "কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যে দিকে সে ফিরে যায় সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব। আর তা কতই না মন্দ নিবাস"। (সূরা নিসা ৪ : ১১৫)
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মহান আল্লাহ সূরা কাফিরূন এর শেষ আয়াত এর মধ্যে ইরশাদ করেন, “ তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আর আমাদের (মুসলমান) দ্বীন আমাদের জন্য।”
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মহান আল্লাহ কুর'আনে বলেন,‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে’। {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৪৮}
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ؟ قَالَ: «أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ»
‘আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন, ‘তুমি কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করবে; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’। [বুখারী : ৬০০১; মুসলিম : ৮৬]
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সুতরাং , একজন হত্যাকারী সহায়তা যেমন অপরাধ, একজন ধর্ষণকারী উৎসাহিত করা যেমন অপরাধ তেমনি যারা আল্লাহর সাথে শির্ক করে তাদের শির্কি বিশ্বাসে পরিপূর্ণ উৎসব অথবা তাদের দেব-দেবীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সেই উৎসবে সামিল হয়ে তাদেরকে এসব কাজে উৎসাহ দেওয়াও সমান অপরাধ ।
আল্লাহ আমাদের সমাজকে এবং সমাজের মানুষকে এসব জাহেলিয়াত ও পৌত্তলিক সংস্কৃতি থেকে রক্ষা কর, হেদায়াত দান কর, আমিন ।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.