বিজয় কীবোর্ডের কপিরাইট লঙ্ঘন করায় অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বাংলা লেখার অ্যাপ রিদ্মিক ও ইউনিবিজয় প্লে স্টোর থেকে অপসারণ করেছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকির মুখে পড়েছেন বিজয়-কীবোর্ড স্বত্বাধিকারী মোস্তাফা জব্বার।

এ বিষয়েক জব্বার জানিয়েছেন, দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইনবক্স করে এবং ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে এখনই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেননি।তিনি বলেন, বাবা-মা চৌদ্দ গোষ্ঠী ধরে গালিগালাজ করছে কেউ কেউ। এটি নতুন না। আমার একটাই অপরাধ, আমি কা্উকে আমার বিজয় কীবোর্ড বিণা অনুমতিতে ব্যবহার করতে দিলাম না কেন? ২৮ বছর আগে যখন এদের কারও কারও জন্মও হয়নি তখন বাংলা লেখার একটি কীবোর্ড প্রণয়ন করে এতো বছর পর সুন্দর সুন্দর বাক্য শুনবো ভাবতে্ই পারিনি। স্রষ্টা এদেরকে ভাল রাখুন। এই জীবনে আর একটি সৃজনশীল কাজ করার কোন ইচ্ছাই হচ্ছে না।এর আগে গত মাসের ১৯ তারিখে গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করা হয় বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করার পরপরই অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে বিজয় বাংলা কীবোর্ড লেআউট অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন মোস্তাফা জব্বার।
অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ দুটি সরিয়ে ফেলে গুগল কর্তৃপক্ষ। গুগলের এই সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে ইউনিবিজয় অ্যাপের ডেভেলপার আরিফ রহমান জানান, মুঠোফোনে বাংলাকে সবার কাছে ছড়িয়ে দিকেই অ্যাপটি তৈরিতে ইউনিজয় লেআউট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এবার তিনি পার্বতী নামে আরও একটি অ্যাপ আনছেন বলেও জানান।
অপরদিকে রিদ্মিক কিবোর্ডের ডেভেলপার শামীম হাসনাত জানিয়েছেন, তিনি বিজয় লে-আউট ব্যবহার করেননি, ইউনিজয় ব্যবহার করেছেন।
অ্যান্ড্রয়েডে অল্পদিনেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা রিদ্মিক এর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, খুব শিগগিরই তারা তাদের অ্যাপ থেকে বিজয় লে আউট ছড়িয়ে ফেলে আবার ফিরে আসবেন।
এদিকে প্লেস্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলার পর গুগলের পক্ষ থেকে রিদ্মিক এবং ইউনিবিজয় কীবোর্ডের ডেভেলপারের কাছে পৃথকভাবে ইমেইল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মোস্তাফা জব্বার অ্যাপ দুটির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছেন গুগলের কাছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গুগল যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে অ্যাপ দুটি অপসারণ করা হয়েছে।
বিজয় কি-বোর্ড লে আউট ব্যবহার করে এর আগে ২০১০ সালে মামলায় জড়িয়েছিল ইন্টারনেটে জনপ্রিয় বাংলা সফটওয়্যার অভ্র। পরে সমঝোতার মাধ্যকে সেখান থেকে কিবোর্ড লে-আউট ইউনিবিজয় প্রত্যাহার করে নেন এই মুক্ত সফটওয়্যার উন্নয়ন দলের প্রধান মেহেদী হাসান খান।
তখন থেকেই ফনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা লেখার চল শুরু হয় তরুণদের মধ্যে। তবে শুরু থেকেই বিজয়ে অভ্যস্থ হয়ে ওঠা ব্যবহারকারীদের জন্য এই লেআউটটি ব্যবহার করতে শুরু করেন ডেভেলপাররা। মেধা স্বত্ব আইনে নিবন্ধিত থাকায় বারবার ঘুরে ফিরে একই বিতর্ক হাজির হতে শুরু করায় অভিজ্ঞজনের অভিমত সরকারের পক্ষ থেকে সর্বস্তরে ‘জাতীয় কি-বোর্ড’ চালু করা উচিত। তাহলে সময়ে সময়ে বাংলা কি-বোর্ড নিয়ে যে বিতর্ক উঠছে তা বন্ধ হবে।
তখন থেকেই ফনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা লেখার চল শুরু হয় তরুণদের মধ্যে। তবে শুরু থেকেই বিজয়ে অভ্যস্থ হয়ে ওঠা ব্যবহারকারীদের জন্য এই লেআউটটি ব্যবহার করতে শুরু করেন ডেভেলপাররা। মেধা স্বত্ব আইনে নিবন্ধিত থাকায় বারবার ঘুরে ফিরে একই বিতর্ক হাজির হতে শুরু করায় অভিজ্ঞজনের অভিমত সরকারের পক্ষ থেকে সর্বস্তরে ‘জাতীয় কি-বোর্ড’ চালু করা উচিত। তাহলে সময়ে সময়ে বাংলা কি-বোর্ড নিয়ে যে বিতর্ক উঠছে তা বন্ধ হবে।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.