Saturday, March 30, 2013

সমর্থন

ক্রিকেটে আমাদের দেশের মানুষ কেন কোন দেশ সাপোর্ট করে তা খুজতে যাওয়া অনেক কঠিন কাজ মনে হয়েছে। আমি স্ট্যাট নির্ভর পোস্ট দিতে পছন্দ করি , কিন্তু এইবার প্রথমবারের মতো কোন স্ট্যাট ছাড়া আমাকে লিখতে হচ্ছে , আমি স্কুল / কলেজ / ভার্সিটি লাইফে যেভাবে মানুষ কে সাপোর্ট করতে দেখেছি তার ভিত্তিতে নিরপেক্ষ থেকে আমার মতামত দিচ্ছি । এই খানে আমার সাথে তোমাদের মতের অমিল হওয়া টা খুব স্বাভাবিক । তোমরা তোমাদের কথা বলতে পারো ।

প্রথমেই দেখা যাক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা , ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা উইন্ডিজ (ইংরেজি: West Indies cricket team) বহুজাতিক ক্রিকেট দল নিয়ে গঠিত। ১৫টি ইংরেজিভাষী ক্যারিবিয় দেশ, ব্রিটিশ উপনিবেশ এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবিহীন দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণ ঘটেছে এতে।১৮৯০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তখন তারা সফরকারী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে প্রথম মাঠে খেলতে নামে। ১৯২৬ সালে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড বা ডব্লিউআইসিবি যোগদান করে। এরপরই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে। ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ৪র্থ টেস্টখেলুড়ে দলের মর্যাদা লাভ করে , ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক সময় প্রতাপশালী দল ছিল , এন্ডি রবার্টস ,ম্যালকম মার্শাল ,মাইকেল হোল্ডিং , জোয়েল গার্নার দের সামনে দাঁড়ানোর শক্তি ছিলনা কোন দেশের। ছিল ভিভ রিচার্ডস , স্যার সোবার্সও, ল্যান্স গিবস, গর্ডন গ্রীনিজ, জর্জ হ্যাডলি, ক্লাইভ লয়েড নাম গুলি শুনলেই তো ভয় পেয়ে যাবার কথা , একের পর এক ম্যাচ জিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সময় লাগেনি , আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে দুইবার শিরোপা জয় করে। প্রথম ক্রিকেট দল হিসেবে পরপর দুইবার শিরোপা লাভের অধিকারীত্ব অর্জন করে। এছাড়াও প্রথম দল হিসেবে একাধারে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ - এই তিনটি বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে অংশ নিয়েছিল। ২০০৪ সালে দলটি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। একই বছর আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করে। ২০০৯ সালে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় সেমি-ফাইনাল পর্বে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু এখন আর সেই যুগ নেই । ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বুদ্ধিতার কারনে শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়ে এখন মান বাচানোই কষ্ট হয়ে পরেছে , পারফর্মেন্সের কারনে জন সমর্থন অনেক কমেগিয়েছে বলে মনে করছি । টেস্ট & ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ৭ & টি-২০ র্যাঙ্কিং ২ ।


দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দল বা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল (ইংরেজি: South Africa national cricket team বিশ্বে দ্য প্রোটিয়াস নামেও খ্যাত। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা বা সাউথ আফ্রিকা দলটি পরিচালিত হচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি'র পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে টেস্ট ক্রিকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের অধিকারী। গত শতকের মধ্য নব্বুইয়ের দশক থেকে অদ্যাবধি প্রোটিয়াসরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চোকার্স নামে খ্যাত। কেননা, তারা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠ দল হয়েও এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি,১৯৭০ সালে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদান করে ঐ দেশের সরকারের বর্ণবাদ নীতির কারণে। দলটি শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবে ইংল্যাণ্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যাণ্ডের বিরুদ্ধেই খেলবে - দক্ষিণ আফ্রিকান সরকারের এ ঘোষণায় আইসিসি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার কর্তৃক দেশ পুণর্গঠনের প্রেক্ষাপটে ১৯৯১ সালে আইসিসি দলটির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে।

সাউথ আফ্রিকাকে আমি এক সময় খুব পছন্দ করতাম , ৯২ ওয়ার্ল্ডকাপে বৃষ্টি আইন ৯৬ তে ব্রায়ান লারার বিধ্বংসী ব্যাটিং এর কাছে , ল্যান্স ক্লুজনার & ডোনাল্ডের ভুল বোঝাবুঝির সেই রান আউট না হলে হয়তো অন্য ভাবে লিখা হতো সাউথ আফ্রিকার ইতিহাস , একের পর এক ম্যাচ নক আউট পর্যায়ে ভেঙ্গে পরে প্রমান করেছে এরা চোকার । আমার পক্ষে এরা চোকার না এইটা প্রমান করা সম্ভব না। আইসিসি মিনি ওয়ার্ল্ড কাপ ছাড়া আর তেমন বড় কোন কাপ এদের জিতা হয়নি । আল্যান ডোনাল্ড ,ব্রায়ান ম্যাকমিলান এর মতো প্লেয়ার থাকার পরো এদের কেন এই রকম অবস্থা হবে আমার মাথায় ঢুকে না । এদের আরেকটি উল্লেখ যোগ্য ঘটনা হলো ম্যাচ পাতানো কেলেংকারি । হেন্সি ক্রনিয়ে সম্ভবত এক মাত্র প্লেয়ার যে ম্যাচ পাতানোর কথা স্বীকার করেছে । মৃত্যুর পর আত্বপক্ষসমর্থন করতে দেয়া যায় না বলে কারো খারাপ দিক নিয়ে আমি কখনো কথা বলি না , আজীবন নিষিদ্ধ হবে জেনেও ম্যাচ পাতানোর কথা স্বীকার করার জন্য তাকে একটু সম্মান জানাতেই হয় , তার অস্বাভাবিক মৃত্যু তে অনেক কষ্ট পেয়েছি , অনেক ক্যাপ্টেন দেখেছি কিন্তু হেন্সির মতো নেতা আমি এখনো দেখি নাই ( ম্যাচ পাতানো অংশ যদি না থাকতো তা ভেবে বলছি ) ,একজন শ্যান ওয়ার্নের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সাথে মুখ থুবরে না পরলে আমি আজ সাউথআফ্রিকার জয় কীর্তন করতে পারতাম । চোকার হবার কারনে সমর্থন খুব কম বলে আমি মনে করছি ।

টেস্ট র্যাঙ্কিং ১ & ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ৪ , টি-২০ র্যাঙ্কিং ৬

অস্ট্রেলিয়া । টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সাথে যুগ্মভাবে প্রাচীনতম দল হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। ১৮৭৭ সালে দলটি সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয় , দলটি ১৮৭৭ সালে এমসিজিতে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। এ খেলায় তারা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে ৪৫ রানে পরাজিত করেছিল। চার্লস ব্যানারম্যান ১৬৫ রান রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছিলেন এবং টেস্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরী করার গৌরব অর্জন করেছিলেন। ঐ সময়ে টেস্ট ক্রিকেট শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ভৌগোলিক দূরত্বজনিত কারণে সাগর পরিভ্রমণ করে খেলার জন্যে কয়েক মাস লেগে যেতো।অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল ১৮৮২ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভ। ৪র্থ ইনিংসে ফ্রেড স্পোফোর্থের অবিস্মরণীয় ক্রীড়ানৈপুণ্যে ইংল্যান্ড মাত্র ৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রায়ও পৌঁছুতে পারেনি। এতে স্পোফোর্থ ৪৪ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট লাভ করেছিলেন। ফলে, ইংল্যান্ড তার নিজ ভূমিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সিরিজে ১–০ ব্যবধানে হেরে যায়। ফলে লন্ডনের প্রধান সংবাদপত্র দ্য স্পোর্টিং টাইমস্ তাদের প্রতিবেদনে ইংলিশ ক্রিকেট নিয়ে বিদ্রুপাত্মকভাবে বিখ্যাত উক্তি মুদ্রিত করে:
“ ইংলিশ ক্রিকেটকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে ওভালের ২৯ আগস্ট, ১৮৮২ তারিখটি। গভীর দুঃখের সাথে বন্ধুরা তা মেনে নিয়েছে। ইংলিশ ক্রিকেটকে ভস্মিভূত করা হয়েছে এবং ছাইগুলো অস্ট্রেলিয়াকে প্রদান করেছে। ”

এভাবেই বিখ্যাত এ্যাশেজ সিরিজের সূত্রপাত ঘটে যাতে কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজই অন্তর্ভূক্ত থাকে। যারা সিরিজ জয় করে তারা এ্যাশেজ ট্রফি লাভ করে। দুই দলের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ নিয়ে গঠিত এ প্রতিযোগিতাটি অদ্যাবধি ক্রীড়া বিশ্বে ব্যাপক আগ্রহ-কৌতুহলের সৃষ্টি করে।

অস্ট্রেলিয়া কে দেখেছি রাজত্ব করে যেতে , এক সময় অস্ট্রেলিয়া কোন টুর্নামেন্ট জিততে না পারলে অবাক হতে হতো , স্টিভ & মার্ক ওয়াহ ,শ্যান ওয়ার্ন , ম্যাকগ্রা ,হেইডেন দের মতো প্লেয়ার আবার কবে দেখা যাবে বলা মুশকিল , আশির দশকের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতোর রাজত্ব করে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া । এখন অবশ্য এই প্লেয়াররা অবসরে যাওয়াতে এদের অবস্থা আর আগের মতো নেই , টেস্ট র্যাঙ্কিং ৩ & ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ৩ । টি-২০ র্যাঙ্কিং ৭

পাকিস্তান কে যারা সাপোর্ট করে তাদের কে একটা কথা প্রায় বলতে শোনা যায় ক্রিকেট আর রাজনীতি এক করে দেখবেন না প্লিজ , ৭১ কে এরা খেলার মধ্যে আনতে চায় না , আমি তাদের কে জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনারা কোন পাকিস্তানি কে জিজ্ঞাসা করেন ভারত VS অস্ট্রেলিয়া / সাউথ আফ্রিকার খেলা হলে এরা কেন ভারতের বিরুদ্ধে থাকে ? আপনি তো ক্রিকেট কে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চান , আমাকে নিশ্চয়ই বলবেন না পাকিস্তানিরা তখন ভারত কে সাপোর্ট করে !!!

আরেকটা গ্রুপ আছে এদের বলতে শুনি পাকিস্তান মুসলিম দেশ তাই পাকিস্তান কে সাপোর্ট করি , ধর্মের কারনেই মুলত এরা এই দেশ কে সাপোর্ট করে , তাহলে সৌদি আরবের সাথে খেলা হলে কোন দেশ কে সাপোর্ট করবেন জিজ্ঞাসা করেছিলাম এক মুরুব্বি কে , বেচারা আমার দিকে তাকিয়ে বলে পাকিস্তান কেই করবো । সৌদি আরব তো খেলে না এদের কেন করবো ?

আমি ঐ ভদ্রলোক কে তখন বলি তাহলে আপনি ধর্মের কারনে পাকিস্তান কে সাপোর্ট করেন না আপনি খেলা দেখে সাপোর্ট করেন , তাহলে অস্ট্রেলিয়া কে কেন করেন না ? এরা তো পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভালো খেলে ?

আমি কখনো দেখিনাই যুদ্ধ হয়েছে এই রকম দুটি দেশের মধ্যে এক দেশ অন্য দেশ কে সমর্থন দিচ্ছে ? ভারত পাকিস্তান একে অপরকে কেউ সমর্থন দিয়েছে কি ? আমেরিকা কে রাসিয়া সমর্থন দিবে চিন্তা করা যায় ? শুধু আমরাই ক্রিকেট থেকে রাজনীতি আলাদা রাখতে চাই , কিন্তু সেখানেও ঝামেলা পাকিয়ে এদের এক অদ্ভুত নিয়মে সমর্থন করে যাই । কোনদিন দেখি নাই টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ/অস্ট্রেলিয়ার মতো রাজত্ব করে খেলছে ? ।

আমি একটা বড় সময় ধরে এদের সমর্থন করতাম , অনেকটা না বুঝেই করতাম,আমরা তো স্কুল থেকেই নেট ব্রাউজ করতে পারতাম না , জানার ক্ষমতা তাই সীমিত ছিল ,গুগুল কি / উইকিপিডিয়া কি জানতাম না , আমরা ভুল করে এদের সমর্থন করেছি আমাদের ছোট ভাইরা নিশ্চয়ই ভালো মন্দ বিচার করেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে । এদের সাপোর্টার দের মধ্যে ম্যাচ পাতানোর ব্যাপারটা স্বীকার করতে দেখা যায় , ৯৯ ওয়ার্ল্ডকাপে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হবার পর বলতে শোনা যায় পাকিস্তান ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছিল , দেশ কে মায়ের সাথে তুলনা করা হয় , যারা নিজেদের মা কে টাকার জন্য বিক্রি করে দেয় তাদের কে কেন সাপোর্ট করো জানতে চাইলে আবার ক্ষেপে যেতে দেখা যায় । আমাদের দেশে এদের বিপুল সমর্থন লক্ষ্য করা যায় । টেস্ট র্যাঙ্কিং ৫ & ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ৬ । টি-২০ র্যাঙ্কিং ৪

ভারত । বন্ধু দেশ !!! প্রতিদিন সীমান্তে ফালানিদের মতো মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে , পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক কেমন এইটা বলার দরকার আছে বলে মনে হয়না শুধু একটা ইনফো চাই ভারত পাকিস্তানি সীমান্তে কত জন মানুষ কে গুলি করেছে ? আমাদের নতজানু নীতির কারনে বন্ধু দেশ আমাদের রক্তাক্ত করে যাচ্ছে । ক্রিকেট কে রাজনীতি থেকে আলাদা করে রাখি , দেখা যাক কতটা বন্ধু ভাবাপন্ন আচরন করেছে ভারত । প্রতিটা দেশ আমাদের কে তাদের দেশে টেস্ট খেলার আমন্ত্রন জানিয়েছে , ভারতের চেয়ে শত গুনে শক্তিশালী (শ্যান ওয়ার্ন , ম্যাকগ্রা , স্টিভ ,মার্ক , হেইডেনরা যখন খেলতো ) দেশ আমাদের আমন্ত্রন করেছে , ইংল্যান্ডের মতো নাক উচা দেশে খেলতে গিয়েছি আর বন্ধুরা আমাদের ডাকলো না !!!

এইখানেই শেষ না , প্রায় এদের শেওয়াগ আমাদের কে নিয়ে কুরুচি পুর্ন কথা বলে , শিধু তো বলতেই থাকে , বিসিসিআই একদম চুপ করে বসে থাকে , আমার প্রশ্ন কেন ? পাকিস্তান / অস্ট্রেলিয়া / ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কথা বললে বিসিসিআই কি চুপ করে থাকবে ।

ভারত কিন্তু কোন ভাবেই ক্রিকেট কে রাজনীতি থেকে আলাদা করে রাখেনা , প্রমান চাও ? ভারত কেন পাকিস্তানের সাথে খেলছে না ? এই প্রশ্নের উত্তর খুজলেই বুঝতে পারবে । ভারত ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ১ হলেও খুব যে রাজত্ব করে খেলেছে মনে করতে পারছিনা , টেস্ট র্যাঙ্কিং ৪ , ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ১ & টি-২০ র্যাঙ্কিং ৩

শ্রীলঙ্কা
১৯৭২ সালের আগে সিলন নামেই দেশটির পরিচিতি ছিল , দলটি প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে ১৯২৬-২৭ সনে, এবং তার পরে টেষ্ট এর ষ্ট্যাটাস পায় ১৯৮১ সনে,রীলংকার জাতীয় ক্রিকেট দল উল্লেখ যোগ্য সফলতা অর্জন করা শুরু করে ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে, পরাজয় থেকে উঠে দাড়ায় বিজয়ের দিকে ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এ। তখন থেকে, দলটি তাদের বল বজায় রেখেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। শ্রীলংকান ক্রিকেট দল পর পর ২০০৭ ও ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্ব কাপে ফাইনালে পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু দুটি খেলাতেই অবশেষে তারা রানার আপ হয়েছে। সানাথ জয়সুরিয়া (অবঃ) এবং অরবিন্দ ডি সিলভা (অবঃ) এর ব্যাটিং আর মুত্তিয়া মুরালিধরন (অবঃ) এবং চামিন্দা ভাস (অবঃ) এর বোলিংসহ আরো অনেক ট্যালেন্টেড ক্রিকেটার , শ্রীলংকান ক্রিকেট দলের গত ১৫ বছরের সফলতার ভিত্বি ছিল।

ভারত পাকিস্তানের পর এদের সমর্থন কম নয় ।
টেস্ট র্যাঙ্কিং ৬ , ওয়ানডে র্যাঙ্কিং ৫ & টি-২০ র্যাঙ্কিং ১
প্রতিটা মানুষ তার পছন্দের দল কে সমর্থন দেয়ার স্বাধিনতা আছে , শুধু একটু বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল করার প্রবণতা কম হবে। আপনি যাদের সমর্থন করে যাচ্ছেন তারা কি আপনার আদর্শ কে সম্মান দিচ্ছে ? আপনার দেশ কে সম্মান করেছে কিনা শুধু একটু ভেবে দেখবেন । আমাদের বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে কিছু দিনপর হয়তো আমার এই পোস্ট টা হাস্যকর হয়ে উঠবে , তখন অন্য দেশের কোন সমর্থক হয়তো আমাদের নিয়ে পোস্ট লিখতে বসবে । আমি সেই দিনের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।

 - Iftee Nomi
March 25, 2013 

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.



Contact Form

Name

Email *

Message *