ফলে বিশ্বে জনপ্রিয় ওডেক্স-ইল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার, ভিওয়ার্কার, ইনভাটো স্টুডিও, পিপলপারআওয়ার, মিডিয়াবিস্ট্রো, গুরু, পর্য, টপকোডারের মতো একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস বাংলাদেশেও হতে পারে।
আর এই মার্কেটপ্লেস তৈরির পরিকল্পনায় রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ইতিমধ্যে তিনি নিজের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এই মার্কেটপ্লেসের নাম ঠিক করতে ফ্রিল্যান্সারসহ সকলের পরামর্শ চেয়েছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.আবু নাছের টেকশহরডটকমেকে জানান, মাসখানেকের মধ্যেই এই মার্কেটপ্লেস তৈরির কাজ গুছিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিমন্ত্রী এই মার্কেটপ্লেস তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) তথ্যে, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের আয় হয়েছে ৪২৫ কোটি টাকা। ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৮ সাল নাগাদ এই আয় এক বিলিয়ন ডলারে নেয়ার যে লক্ষ্য তাতে এই মার্কেটপ্লেস গতি আনবে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
বর্তমানে শুধু ইল্যান্স-ওডেস্কের কার্যক্রম রয়েছে প্রায় ১৮০টি দেশে। এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ও উপার্জন, দুই দিক থেকেই বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ২০১৩ সালেই বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ইল্যান্স-ওডেস্ক থেকে আয় করেছে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা।
২০১৪ সালের জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে এই পর্যন্ত মার্কেটপ্লেস থেকে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ৫০৮ কোটি টাকা।
কাজের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত আইটি ও প্রোগ্রামিং কাজ থেকে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা, অনলাইন বিপণনে চার কোটি, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়ায় ৩২ কোটি এবং রাইটিং ও ট্রানস্লেশনে ১৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে।
কাজের সংখ্যায় ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে চার লাখ ৩৫ হাজার ২৪৯টি কাজ করেছেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের এই সাফল্যে কথা বিবেচনায় নিয়ে সেক্টর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশি এই মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সাদের আউটসোর্সিংয়ের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.