ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটই এতদিন আমাদের জানা ছিল। টেষ্ট, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি। তবে আইসিসি আরেকটি ফরম্যাটের প্রচলন করেছে। ৪র্থ এই ফরম্যাটের নাম ’ইলেভেন-ফোর্টিন’ (১১-১৪)। এরুপ খেলায় আইসিসি টিম ইন্ডিয়ার হয়ে নিজেই অংশগ্রহণ করে দুইজন আম্পায়ার ও একজন টিভি আম্পায়ারসহ। যদিও ১৪ জনের টিমের বিপক্ষে থাকে মাত্র ১১ জন খাঁটি ক্রিকেটার। তবে যেহেতু খেলাটি ঘোষণা দিয়ে হয় না এবং আইসিসি ছাড়া এই ফরম্যাটে অন্য কারো একসেস কিংবা যোগ্যতা নেই তাই আইসিসি আপন মনে এই ফরম্যাটে খেলতে পারে ইচ্ছামত। আর ইচ্ছাটি শুধুমাত্র টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে ম্যাচ গড়াপেটা করে দেওয়া। ৪র্থ এই ফরম্যাটের বলী হয়েই বাংলাদেশকে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
আসলে আইসিসি উদ্ভাবিত নতুন এই ফরম্যাটটি অভিনব অথচ অন্যায়ভাবে জয় পরাজয় নির্ধারিত করে দেওয়ার ফরম্যাট। গত ১৯ মার্চ মেলবোর্নে এমন একটি ফরম্যাটের খেলাই অনুষ্টিত হয়েছে। আইসিসি অফিসিয়ালি ঘোষণা না করলেও গত ১৯ মার্চ এমসিজিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে খেলাটি অনুষ্টিত হয়েছে তার মাধ্যমে এই ফরম্যাটের কয়েকটি ’নিয়মকানুন’ খুব সফলতার সাথে প্রয়োগ করা হয়েছে। যেহেতু এই ফরম্যাটের একমাত্র উদ্দেশ্য যে কোনোভাবে টিম ইন্ডিয়াকে জিতিয়ে দেওয়া তাই এই ফরম্যাটের খেলার নতুন নিয়মগুলো:
১। টিম ইন্ডিয়া ব্যাটিং এ থাকলে যথাসম্ভব এলবিডব্লিউ এড়িয়ে যাওয়া।
২। সবচেয়ে বেশি রান করতে থাকা উইকেটটি পড়ে গেলে টিম ইন্ডিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা তৈরি হলে সুস্পষ্ট কট আউটকে ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য ‘মিথ্যা’ নো বল ঘোষণা করা।
৩। টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিংএর সময় প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বেশি রান পাওয়া ব্যাটসম্যানের ছক্কাটি ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইন টাচ করে ধরলেও ছক্কার পরিবর্তে আউট ঘোষণা করা।
এছাড়া টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে বিশ্বকাপের ফিক্চার পরিবর্তনও এই ফরম্যাটেরই অংশ।
টিম ইন্ডিয়া শ্রীলঙ্কার উত্থান ঠেকাতে পারেনি। আসিফ-আমিরের বিপক্ষে আইসিসির দেওয়া শাস্তির অতি লম্বা মেয়াদই পাকিস্তানের হুমকি থেকে মুক্ত হয়ে টিম ইন্ডিয়া ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে স্বস্তির সাথে খেলতে পেরেছে। এশিয়ার নতুন অদম্য শক্তি বাংলাদেশ টিম ইন্ডিয়ার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। তাই প্রথমেই বাংলাদেশকে ২০১৫ বিশ্বকাপে নতুন ফরম্যাটে হারিয়ে দেওয়া হলো। অনেকেই এখন আইসিসিকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বলে অভিহিত করছেন। প্রকৃতপক্ষে আইসিসি এখন টিম ইন্ডিয়ার, টিম ইন্ডিয়ার দ্বারা এবং টিম ইন্ডিয়ার জন্য।
আইসিসি ১৯ মার্চ আমাদের ১৬ কোটি বাংলাদেশির হ্নদয় ভেঙ্গে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। এ অন্যায়ের বিপক্ষে প্রতিবাদ না করলে কিংবা বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে রুখে না দাঁড়ালে মেলবোর্নের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। কারণ খেলার মাঠে আমাদের লড়াকু বঙ্গসন্তানদের সকল প্রতিভা ও শ্রমের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে এখন শত কোটি টাকার বাণিজ্য। আর পৃষ্টপোষকতায় স্বয়ং আইসিসি। মেলবোর্নের এত কলঙ্কের পরও অবাক হয়ে যেতে হয় যে আইসিসির বর্তমান সভাপতির পদে রয়েছেন একজন বাংলাদেশি এবং তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে রেফারির বিতর্কিত পেনাল্টি জার্মানির বিজয় নিশ্চিত করে। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট তখন কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করতে কোনো দ্বিধা করেননি।
-আমাদের সময় ডট কম
আসলে আইসিসি উদ্ভাবিত নতুন এই ফরম্যাটটি অভিনব অথচ অন্যায়ভাবে জয় পরাজয় নির্ধারিত করে দেওয়ার ফরম্যাট। গত ১৯ মার্চ মেলবোর্নে এমন একটি ফরম্যাটের খেলাই অনুষ্টিত হয়েছে। আইসিসি অফিসিয়ালি ঘোষণা না করলেও গত ১৯ মার্চ এমসিজিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে খেলাটি অনুষ্টিত হয়েছে তার মাধ্যমে এই ফরম্যাটের কয়েকটি ’নিয়মকানুন’ খুব সফলতার সাথে প্রয়োগ করা হয়েছে। যেহেতু এই ফরম্যাটের একমাত্র উদ্দেশ্য যে কোনোভাবে টিম ইন্ডিয়াকে জিতিয়ে দেওয়া তাই এই ফরম্যাটের খেলার নতুন নিয়মগুলো:
১। টিম ইন্ডিয়া ব্যাটিং এ থাকলে যথাসম্ভব এলবিডব্লিউ এড়িয়ে যাওয়া।
২। সবচেয়ে বেশি রান করতে থাকা উইকেটটি পড়ে গেলে টিম ইন্ডিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা তৈরি হলে সুস্পষ্ট কট আউটকে ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য ‘মিথ্যা’ নো বল ঘোষণা করা।
৩। টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিংএর সময় প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বেশি রান পাওয়া ব্যাটসম্যানের ছক্কাটি ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইন টাচ করে ধরলেও ছক্কার পরিবর্তে আউট ঘোষণা করা।
এছাড়া টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে বিশ্বকাপের ফিক্চার পরিবর্তনও এই ফরম্যাটেরই অংশ।
টিম ইন্ডিয়া শ্রীলঙ্কার উত্থান ঠেকাতে পারেনি। আসিফ-আমিরের বিপক্ষে আইসিসির দেওয়া শাস্তির অতি লম্বা মেয়াদই পাকিস্তানের হুমকি থেকে মুক্ত হয়ে টিম ইন্ডিয়া ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে স্বস্তির সাথে খেলতে পেরেছে। এশিয়ার নতুন অদম্য শক্তি বাংলাদেশ টিম ইন্ডিয়ার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। তাই প্রথমেই বাংলাদেশকে ২০১৫ বিশ্বকাপে নতুন ফরম্যাটে হারিয়ে দেওয়া হলো। অনেকেই এখন আইসিসিকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বলে অভিহিত করছেন। প্রকৃতপক্ষে আইসিসি এখন টিম ইন্ডিয়ার, টিম ইন্ডিয়ার দ্বারা এবং টিম ইন্ডিয়ার জন্য।
আইসিসি ১৯ মার্চ আমাদের ১৬ কোটি বাংলাদেশির হ্নদয় ভেঙ্গে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। এ অন্যায়ের বিপক্ষে প্রতিবাদ না করলে কিংবা বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে রুখে না দাঁড়ালে মেলবোর্নের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। কারণ খেলার মাঠে আমাদের লড়াকু বঙ্গসন্তানদের সকল প্রতিভা ও শ্রমের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে এখন শত কোটি টাকার বাণিজ্য। আর পৃষ্টপোষকতায় স্বয়ং আইসিসি। মেলবোর্নের এত কলঙ্কের পরও অবাক হয়ে যেতে হয় যে আইসিসির বর্তমান সভাপতির পদে রয়েছেন একজন বাংলাদেশি এবং তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে রেফারির বিতর্কিত পেনাল্টি জার্মানির বিজয় নিশ্চিত করে। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট তখন কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করতে কোনো দ্বিধা করেননি।
-আমাদের সময় ডট কম
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.